শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
অক্টোবরে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি

অক্টোবরে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি

স্বদেশ ডেস্ক:

সব জটিলতা কাটিয়ে অক্টোবর মাসেই প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আপত্তি থাকায় দীর্ঘ তিন মাস ধরে ঝুলে ছিল পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি। অবশেষে নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষকদের সম্মানীর অর্থ ছাড় দেয়ার বিষয়ে মৌখিক সম্মতি পাওয়ার পর এখন অক্টোবর মাসের শেষ দিকেই এই পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে।

এ দিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের খরচের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় মৌখিক সম্মতি দেয়ার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার জটিলতা কেটেছে। আগামী মাসের (অক্টোবর) শেষ দিকে প্রথম ধাপে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তুতিও শুরু করেছে ডিপিই।

সূত্র মতে, তিন ধাপে মোট সাড়ে ১১ লাখ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র বলেছে, এই নিয়োগের জন্য দেশের আট বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত শূন্য পদ ৭ হাজার ৪৬৩টি। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মৌখিক সম্মতি পাওয়া গেছে। আশা করছি, অনুমোদনের চিঠি শিগগির হাতে পাব। চিঠি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে।

অবশ্য এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সাড়ে ১১ লাখ প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা অধিদফতরের নেই। এ কারণে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল ব্যবস্থাপনায় গ্রহণযোগ্যতা থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) এই কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ জন্য বুয়েটকে অর্থ দিতে হবে। এই ব্যয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এই অনুমোদন না দেয়ায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজনও আটকে ছিল। বুয়েট গত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও এভাবে যুক্ত ছিল।

সূত্র মতে, এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এই নিয়োগের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য এবং তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষাও ধাপে ধাপে নেয়া হবে।

সূত্র আরো জানায়, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন; ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন। এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশি ঢাকা বিভাগে, ১ হাজার ৩৬৫ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে, ৪১১টি। বরিশালে ৮৭১, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮ এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি। তবে শূন্য পদ আরো বাড়তে পারে। কারণ, নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পদ শূন্য হবে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দুই বছরের বেশি সময় পর সেই নিয়োগ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ দেননি। ফলে এই পদগুলো শূন্য থেকে যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877